তিনি বলেন, ‘দেশে সার নিয়ে কোনো সংকট নেই। সার নিয়ে কৃষকের কোনো কষ্ট নেই।’
রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির’ সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে শুরু থেকেই বর্তমান সরকার কৃষি উৎপাদনের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে। প্রথমেই সারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ডিএপি সারের দাম ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ২৮ টাকা, টিএসপি ৮০ টাকা থেকে ২২ টাকা এবং পটাশিয়াম ৭০ টাকা থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করে। এটি ছিল একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
‘সারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত এবং কৃষকসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদনে বেড়েছে এবং দেশ আজ দানাদার জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে,’ বলেন তিনি।
সভায় নিবিড় ও সম্প্রসারিত চাষাবাদের প্রয়োজনে চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে রাসায়নিক সারের চাহিদা পুন নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ১ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া ও ২ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি সার সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চলমান অর্থবছরে ইউরিয়া ২৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, ডিএপি ১৫ লাখ মেট্রিক টন, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম প্রভৃতিসহ সকল রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ মেট্রিক টন।
সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শিল্পসচিব কে এম আলী আজম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।